মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের পূর্বে আরবের অবস্থা যেমন ছিল।


মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের পূর্বে আরবের অবস্থা কুসংস্কারে ভরপুর ছিল। এমন কোন অরাজকতা, অনাচার, পাপাচার ছিলনা যা তারা করত না। সমগ্র আরবে পূর্ণ অরাজকতা বিরাজমান ছিল। সারা আরব দৌরাত্ম্য অসভ্যতার লীলা ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। ব্যাপকভাবে সর্বত্র অত্যাচার, অনাচার, ব্যভিচার, চুরি, ডাকাতি, আত্মকলহ, হত্যা, রক্তপাত ও প্রতিহত ভাবে চলতে থাকতো। তার আগমনের পূর্ব যুগকে অন্ধকার যুগ বলা হয়। এ সম্পর্কে আমরা একটু বিস্তারিত জানব।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের পূর্বে আরবের যেমন ছিল
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের পূর্বে আরবের যেমন ছিল

আইয়ামে জাহেলিয়ার পরিচয়: মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুয়াত প্রাপ্তির পূর্ব যুগকে আইয়্যামে জাহেলিয়া (الايام الجاهليه) বা অন্ধকার যুগ বলা হয়। আইয়্যাম অর্থ যুগ এবং জাহেলিয়া অর্থ অন্ধকার, কুসংস্কার, বর্বরতা, অজ্ঞতা। যে যুগে আরব দেশে কৃষ্টি, সংস্কৃতি আল্লাহ প্রদত্ত ধর্মীয় অনুভূতি লোপ পেয়েছিল সে যুগকেই অন্ধকার যুগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
তবে অন্ধকার যুগের সময়কাল সম্বন্ধে ইসলামী চিন্তাবিদদের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে।
অনেকের মতে হযরত আদম আলাইহিস সালাম হতে মুহাম্মদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াত প্রাপ্তি পর্যন্ত দীর্ঘ সময়কেই অন্ধকার যুগ বলা যেতে পারে। কিন্তু এই অভিমত সর্বতোভাবে পরিত্যাজ্য। কারণ এক্ষেত্রে সকল নবী-রাসূলকে অস্বীকার করা হয়।(পরোক্ষ প্রত্যক্ষ দুই ভাবেই) হযরত আদম আলাইহিস সালাম হতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবির্ভাব পর্যন্ত বিশ্বের ইতিহাসে যেসকল সভ্য জাতি সভ্যতা চির স্মরণীয় হয়ে আছে, সে গুলোকে তমাচ্ছন বলে আখ্যায়িত করা ইতিহাসকে অস্বীকার করা ছাড়া কিছুই নয়।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের পূর্বে আরবের অবস্থা যেমন ছিল।
অপর একদল গবেষক মনে করেন যে,হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের তিরোধানের পর হতে মুহাম্মদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবির্ভাব পর্যন্ত প্রায় ছয় শতাব্দি কালকে অন্ধকার যুগ বলে চিহ্নিত করা যায়। কারণ সময় ঐশী জীবনবিধান সম্পর্কে জগত সম্পূর্ণ অজ্ঞ ছিল। ইহুদি খ্রিস্টানদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এযুগের তমসাকে আরো পরিবর্তিত করে কুসংস্কারের দিকনির্দেশনা প্রদান করে। কিন্তু পরীক্ষার কষ্টিপাথরে অভিমতও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কারণ খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত দক্ষিণ আরব উত্তর আরবে শিক্ষাদীক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-সাহিত্য, রাজনৈতিক চেতনাবোধ, অর্থনৈতিক উন্নতি, সামাজিক ব্যবস্থার সুষ্ঠু ব্যবহার যতখানি উৎকর্ষতা লাভ করেছিল, তাকে অন্ধকার বলে আখ্যায়িত করলে সত্যের অপলাপ করা হবে।
তবে বলা যায় ইসলাম পূর্ব যুগের আরববাসী বা আরব জাতি বলতে আইয়্যামে জাহেলিয়ার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল অর্থাৎ হেজাজ এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের অধিবাসীরা অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদের তুলনায় অধিকতর বর্বর, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, নৈতিকতাহীন, উশৃংখল এবং অজ্ঞানতায় নিমজ্জত ছিল।
ঐতিহাসিক বর্ণনায় জানা যায় যে, মুহাম্মদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্মের প্রাক্কালে উত্তর এবং দক্ষিণ আরবে সমৃদ্ধশালী রাজবংশ স্বীয় আধিপত্য বিস্তার করেছিল। উত্তর আরবেরহীরাছিল একটি সমৃদ্ধশালী নগরী। হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক 633 খ্রিস্টাব্দে হীরা অধিকৃত হলে এর সুরম্য হর্মরাজি মুসলিম বাহিনীকে স্তম্ভিত করে তোলে। প্রণিধানযোগ্য যে, পরবর্তীতে কুফা শহর মসজিদ সম্প্রসারণে হীরার স্থাপত্য রীতির অনুকরণ করা হয়েছিল। বস্তুত দক্ষিণ আরবেরহিমইয়ারীরাজ্য খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দী এক বিস্ময়কর প্রতিভা। রাজ বংশের অহংকারী আব্রাহা কাবা গৃহ ধ্বংস করতে গিয়ে নিহত হয়েছিল। সুতরাং একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, দক্ষিণে আরব মিনাইয়ান, সাবিয়ান হিমইয়রী সভ্যতাকে অজ্ঞতার আবর্তে নিক্ষেপ করা যায় না। অপরদিকে উত্তর আরবের নুফুদ অঞ্চলে নাবাতিয়ান, পালমিরা গাসসানী লাখমিদ রাজ্যগুলোর সমৃদ্ধির প্রতি লক্ষ্য করলে এগুলোকেও অন্ধকারাচ্ছন্ন বলা যায়না।
তাছাড়া উত্তর আরবের মরুময় নুফুদ অঞ্চলসহ নজদ হিজায প্রদেশ মরুচারী বেদুইনদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র ছিল। অন্তর্দ্বন্দ্ব, গোত্র কলহ, কাব্যে কুৎসা রচনায় মত্ত, রক্তলোলুপ লুটেরা বেদুইনদের মধ্যে পার্শ্ববর্তী সভ্যতার দাগ কাটতে পারেনি। দুর্দমনীয়, দুর্বিনীত অত্যাচারী হিজায নজদবাসীর ইতিহাস প্রাক-ইসলামী যুগের অন্ধকারাচ্ছন্ন অধ্যায়। বিশেষত হিজায তৎপার্শ্বস্থ এলাকায় নৈরাজ্যের ঘনঘটা বিরাজমান ছিল। হিজাজের প্রচলিত আরবী ভাষায় কোরআন অবতীর্ণ হয়। এজন্য অন্ধকার যুগের আরব বলতে হেজাজ পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং অন্ধকার যুগ বলতে সে সময়কে বোঝানো হয়। দ্রষ্টব্য: ‘ইসলামের ইতিহাস’, দাখিল নবম-দশম শ্রেণী
ইসলাম-পূর্ব যুগে আরবের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ধর্মীয় অবস্থা একেবারে অবর্ণনীয় ছিল। তৎকালীন আরবের রাজনৈতিক অবস্থা বিশৃঙ্খলাপূর্ণ এবং হতাশাব্যঞ্জক ছিল। কোন কেন্দ্রীয় শক্তির নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্ব না থাকায় আরবে গোত্র প্রাধান্য লাভ করে। তাদের মধ্যে কোন ঐক্য ছিল না। গোত্রসমূহের মধ্যে সবসময় বিরোধ লেগেই থাকত।
তাদের সামাজিক জীবন অনাচার, পাপাচার, দুর্নীতি, কুসংস্কার, অরাজকতা, ঘৃণ্য আচার-অনুষ্ঠান এবং নিন্দনীয় কার্যকলাপে পরিপূর্ণ ছিল। আরবরা মদ, নারী যুদ্ধ নিয়ে মত্ত থাকত। তারা এত বেশি মদ্যপায়ী ছিল, যে কোন গর্হিত কাজ করতে তারা দ্বিধা বোধ করত না। তাদের সমাজে নারীদের কোন সম্মান মর্যাদা বলতে কিছু ছিল না। নারী মানে ভোগ-বিলাসের সামগ্রী অস্থাবর সম্পত্তির মতো ছিল। অবৈধ প্রণয়, অবাধ মেলামেশা, একই নারীর বহু স্বামী গ্রহণ প্রথা ব্যাপক আকারে ছিল। ব্যভিচার এতো জঘন্য আকার ধারণ করেছিল তা বর্ণনাতীত। বিষয় সম্পত্তিতে স্ত্রীদের কোন অধিকার ছিল না। নির্মমতা কতদূর পৌঁছালে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবরস্থ করা হয়! এমন নির্মম প্রথা তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছিল। কন্যা সন্তানকে তারা অভিশপ্ত লজ্জাজনক অপয়া মনে করত। দাস-দাসীদের জীবন ছিল অত্যন্ত দুর্বিষহ করুণ। মানবিক মর্যাদা ব্যক্তি স্বাধীনতা বলতে তাদের কিছুই ছিল না। হাটে বাজারে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের মত দাস-দাসী ক্রয়-বিক্রয় হত। নির্মম অত্যাচারে দাস-দাসীদের নিরাপত্তা দারুণভাবে বিঘ্নিত হতো। তাদেরকে মানুষ হিসেবে গণ্য করার কথা আরবরা বিস্মৃত হয়ে গিয়েছিল।
সে যুগে আরবের ধর্মীয় অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। আরবে তখন অধিকাংশ লোকই ছিল জড়বাদী পৌত্তলিক। তাদের ধর্ম ছিল পৌত্তলিকতা এবং বিশ্বাস ছিল আল্লাহর পরিবর্তে অদৃশ্য শক্তির কুহেলিকাপূর্ণ ভয়ভীতিতে। তারা বিভিন্ন জড়বস্তুর প্রশ্ন করত। চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, বৃক্ষরাজি, পাথর খন্ড, কূপ গুহাকে পবিত্র মনে করে তারা পূজা করতো। প্রকৃতি ছাড়াও তারা বিভিন্ন মূর্তির পূজা করত। মূর্তিগুলোর গঠন আকৃতি পূজারীদের অনুযায়ী তৈরি করা হতো। সে যুগে আরবে পৌত্তলিক ছাড়া অন্যান্য সম্প্রদায়েরও কিছু লোক ছিল। এদের মধ্যে ইহুদি, খ্রিষ্টান হানাফী -তথা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর ধর্মের একনিষ্ঠ অনুসারী- সম্প্রদায়ের লোক ছিল।  ইহুদি খ্রিস্টান ধর্মের লোকেরা আসমানী কিতাবের অধিকারী একেশ্বরবাদী বলে দাবী করতো। কিন্তু ইহুদীদের বিশ্বজগতের স্রষ্টা নিয়ন্তা সম্বন্ধে সঠিক ধারণা ছিল না। তারা বিশৃংখলা বৈষম্য সৃষ্টিকারী ছিল। (আজও তারা পৃথিবীতে সকল অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা বৈষম্য সৃষ্টির মূলে কাজ করে যাচ্ছে।) অপরদিকে খ্রিস্টানরা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসী ছিল।

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের পূর্বে আরবের অবস্থা যেমন ছিল।

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের পূর্বে আরবের যেমন ছিল
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের পূর্বে আরবের যেমন ছিল

তৎকালীন আরবের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক নাজুক ছিল। সেখানকার অধিকাংশ অঞ্চল মরুময় অনুর্বর। অনুর্বর মরুভূমি কৃষিকাজের জন্য উপযোগী ছিল না। ফলে খাদ্য দ্রব্যের উৎপাদন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ছিল।  ভৌগলিক পরিবেশ এবং জীবিকার ভিত্তিতে তখনকার মানুষেরা কৃষিজীবী, ব্যবসায়ী, সুদী কারবারকারি, কারিগর সম্প্রদায় মরুবাসী বেদুইন ইত্যাদি ভাগে বিভক্ত ছিল। আরবের সাংস্কৃতিক অবস্থা আধুনিক যুগের সংস্কৃতির মত বিজ্ঞানসম্মত ছিলনা। কিন্তু তারা সাংস্কৃতিক জীবন থেকে একেবারে বিচ্ছিন্নও ছিল না। তাদের ভাষা এত সমৃদ্ধ ছিল যে, আধুনিক ইউরোপের উন্নত ভাষাগুলোর সাথে তার তুলনা করা যায়। এবং তারা বিভিন্নভাবে সংস্কৃতি চর্চা করতো। কবিতার মাধ্যমে সাহিত্য চর্চা করত। ঐতিহাসিক হিট্টি তাদের সম্পর্কে বলেন, “কাব্যপ্রীতিই ছিল বেদুইনদের সাংস্কৃতিক সম্পদ।তারা প্রতি বছর সাহিত্য মেলা করত। উকাজের সাহিত্য মেলার খ্যাতি ছিল পুরো আরবময়। উকাজের বাৎসরিক সাহিত্য সম্মেলনে পঠিত 7 টি ঝুলন্ত কবিতাকে আস-সাবউল মুআল্লাকাত (السبع المعلقات) বলা হয়। যা এখনও বই আকারে সারাবিশ্বে পাওয়া যায়। এই কবিতা গুলোর লেখক ছিলেন তৎকালীন যুগের কবিদের মধ্যে যশস্বী রচয়িতাগণ। আরবি ভাষায় এরূপ উন্নতি সমৃদ্ধি সাধনের কারণে ঐতিহাসিক হিট্টি মন্তব্য করেন, “ইসলামের জয় অনেকাংশে একটি ভাষার জয়, আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে একটি ধর্মগ্রন্থের জয়।
অন্ধকার যুগের পাপ পঙ্কিল সমাজ, কুসংস্কারচ্ছন্ন ধর্মীয় মতবাদ, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, অভিশপ্ত প্রথা সবকিছুই বিদ্যমান ছিল তাদের সমাজে। তাই আরবদের অজ্ঞতা বা বর্বরতার যুগ বলতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াত লাভের পূর্বে হিজাজের অবস্থাকে বুঝায়। সামগ্রিকভাবে সমস্ত আরবের প্রাক-ইসলামী যুগকে কখনোই বর্বরতার যুগ বলা যেতে পারে না।  
আল্লাহ প্রেরিত মহাপুরুষ এর একেশ্বরবাদের আদর্শ হতে বিচ্যুত হয়ে মানবজাতি এক সঙ্কটজনক ও অভিশপ্ত অবস্থায় পতিত হয়। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে ইহুদিগণ ধর্মগুরুর প্রদর্শিত পথ ও একেশ্বরবাদের পথ ভুলে পৌত্তলিকতার আশ্রয় গ্রহণ করে। খ্রিস্টানগণ হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের প্রচারিত ধর্মমত হতে বিচ্যুত হয়ে ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসী হয়ে পড়ে। দক্ষিণ আরবে খ্রিস্টান, ইহুদি ও পরবর্তীকালে জরথুস্ট্র ধর্মের প্রভাবে ধর্মীয় ক্ষেত্রে এক নৈরাশ্যজনক পরিবেশের সৃষ্টি করে। এই চরম দুর্গতি সম্পন্ন জাতিকে ন্যায় ও সত্যের পথে পরিচালিত করার জন্য একজন মানুষের আবির্ভাব অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আমির আলীর ভাষায়, ‘‘পৃথিবীর ইতিহাসে পরিত্রাণকারী আবির্ভাবের এত বেশি প্রয়োজন এবং এমন উপযুক্ত সময় অন্যত্র অনুভূত হয়নি।” অবশেষে আল্লাহ মানবজাতিকে হেদায়েতের জন্য হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী রূপে বিশ্বে প্রেরণ করেন। শুধু আরবে নয়, বরং সমগ্র বিশ্বে কুসংস্কারের কুহেলিকা ভেদ করে তাওহীদের বাণী প্রচার করার জন্য তিনি মক্কায় ভূমিষ্ঠ হয়। তিনি অনন্ত কল্যাণ ও স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি আপোষহীন তৌহিদের প্রতীক। এ সম্বন্ধে ঐতিহাসিক হিট্টি বলেন, “মহান ধর্মীয় ও জাতীয় নেতার আবির্ভাব এর জন্য মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছিল এবং সময়ও ছিল মনস্তাত্ত্বিকতাপূর্ণ।  এ ছিল মহানবী বিশ্বনবী মুহাম্মদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের পূর্বে আরবের অবস্থা ও ইতিহাস।




 আরো বিস্তারিত জানার জন্যসীরাতে মোস্তফা’(লেখকঃ ইদ্রিস কান্ধলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি), ‘তারিখুল ইসলাম’ (লেখকঃ আশেকে ইলাহী মীরাঠী) ‘বিশ্বনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার খলিফার জীবনী’(লেখক এর নাম আমার মনে নেই), ‘হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (স) সমকালীন পরিবেশ ও জীবন’(লেখকঃ শাইখুল হাদিস মাওলানা মুহাম্মাদ তাফাজ্জল হোসাইন, ড. এ এইচ এম মুজতবা হোসাইন)
 ইত্যাদি বইগুলো পড়তে পারেন। সময় নিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।  আল্লাহ তা'আলা সর্বজ্ঞ

 আরও পড়ুন:


 লিখেছেনঃ  মাওলানা নাস্রুল হক

Post a Comment

0 Comments