-মাহমুদ আব্দুল্লাহ,

মেসওয়াকের নিয়ম

---------------------------------------------------
মেসওয়াক ও ওযুর সুন্নাত তরিকা
মেসওয়াক ও ওযুর সুন্নাত তরিকা১. প্রথমে এক বিঘত হাত পরিমাণ লম্বা হওয়া উত্তম।

২.মেসওয়াক নরম ও কাঁচা হওয়া উত্তম।
৩. মেসওয়াক ডান হাতে ধরা মোস্তাহাব। 
৪.মেসওয়াক ধরার তরীকা হলো- কনিষ্ঠ ও বৃদ্ধাঙ্গুলী মেসওয়াকের নিচে এবং অবশিষ্ট আঙ্গুল মেসওয়াকের উপর রাখা।
মেসওয়াক ও ওযুর সুন্নাত তরিকা
মেসওয়াক ও ওযুর সুন্নাত তরিকা

৫. বিসমিল্লাহ্‌ বলে মেসওয়াক শুরু করা। 
৬.মেসওয়াক শুরু করার সময় দু'আ পড়া মোস্তাহাব। 
৭. মেসওয়াক শুরু করার পূর্বে ভিজিয়ে নেয়া উত্তম। 
৮. প্রথমে উপরের দাঁতের ডান দিকে পরে বাম দিকে তারপর নিচের দাঁতের ডান দিকে অতপর বাম দিক, তারপর দাঁতের ভেতরে অনুরূপ ঘষা। 
৯. একবারে তিনবার ঘষা উত্তম। প্রতিবারে নতুন পানি দিয়ে মেসওয়াক ধুয়ে নেয়া মুস্তাহাব। 
১০. শুয়া অবস্থায় মেসওয়াক করা মাকরূহ। 
১১. মেসওয়াক না পাওয়া গেলে পরিষ্কার কাপর অথবা শাহাদাৎ আঙ্গুল দ্বারা দাঁত পরিষ্কার রাখা। 


ওযুর ফরজ 

---------------------------------------------------
মেসওয়াক ও ওযুর সুন্নাত তরিকা
মেসওয়াক ও ওযুর সুন্নাত তরিকা
১. সমস্ত মুখ একবার ধৌত করা। (অর্থাৎ কপালের উপরি ভাগের চুলের গোড়া থেকে থুতনির নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অপর কানের লতি পর্যন্ত। যদি দাঁড়ি হালকা হয় তাহলে সমস্ত দাঁড়ির গোড়ায় পানি পৌঁছানো এবং ঘন দাঁড়ির ক্ষেত্রে চেহারা অংশের দাঁড়ির উপর ভাগ ধৌত করা ফরজ, তবে সমস্ত দাঁড়ি ধৌত করা উত্তম।
২.উভয় হাত কনুইসহ একবার ধৌত করা।  
৩. মাথার চার ভাগের একভাগ মাসেহ করা। 
৪. উভয় পা টাখনুসহ একবার ধৌত করা।



ওযুর সুন্নত

---------------------------------------------------
১. নিয়ম করা। 
২. বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করা। 
৩. দু'হাত কবজি পর্জন্ত তিনবার ধৌত করা। 
৪.মেসওয়াক করা, যদি মেসওয়াক না থাকে তবে আঙ্গুল দ্বারা উত্তম রূপে দাঁত পরিষ্কার করা।  
৫. গড়গড়া করে তিনবার কুলি করা। তবে রোযা অবস্থায় গড়গড়া করা নিষধ।
৬.তিনবার নাকের ভেতর পানি দেওয়া।
৭.ঘন দাঁড়ি খিলাল করা। (খিলালের নিয়ম: হাতের তালু বাহিরে রেখে গলার দিক থেকে উপরের দিকে খিলাল করা)
৮. ওযুর অঙ্গসমূহ তিনবার করে ধৌত করা। 
৯. হাত ও পা ধৌত করার সময় আঙ্গুল খিলাল করা। 
১০. একবার সমস্ত মাথা মাসেহ করা। 
১১. উভয় কান মাসেহ করা। (শাহাদাৎ আঙ্গুল দ্বারা কানের ভেতরের ভাজগুলো এবং বৃদ্ধাঙ্গুল দ্বারা কানের পিঠ মাসেহ করা)
১২.ওযুর অঙ্গসমুহ ঘষে-মেজে ধৌত করা।
১৩.ওযুর অঙ্গসমুহ ধারাবাহিকভাবে ধৌত করা। 
১৪. প্রত্যেক অঙ্গ পরপর (দেরি না করে) ধৌত করা। 
১৫. ডান দিক থেকে অজুর অঙ্গসমূহ ধৌত শুরু করা। (অর্থাৎ প্রথমে ডান অঙ্গ ও পরে বাম অঙ্গ ধৌত করা)  
১৬.কপাল থেকে মাথা মাসেহ শুরু করা।
১৭. আঙ্গুলের দিক থেকে হাত ও পা ধৌত শুরু করা।
১৮.ওযুর সময় উভয় হাত দিয়ে মুখ ধৌত করা।
১৯. ওযুর শেষে কালেমা শাহাদাত ও এই দু'আ পড়া-

ওযুর দু'আ

উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু ওয়াআশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহ। আল্লাহুম্মাজআলনী মিনাত তাওয়াবীন ওয়াজ আলনী মিনাল মুতাতাহহিরীন। সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ওয়াআতুবু ইলাইক।