নামাজের ফরজ ও ওয়াজিব সমুহ

মাহমুদ আব্দুল্লাহ,
নামাজের ফরজ ও ওয়াজিব সমুহ
নামাজের ফরজ ও ওয়াজিব সমুহ


নামাযের ফরজ


---------------------------------------------------

নামায শুরু করার পূর্বে ৭ ফরজ

১. শরীর পাক হওয়া।

২.কাপড় পাক হওয়া।

৩. নামাযের জায়গা পাক হওয়া।

৪. ছতর ঢাকা। অর্থাৎ পুরুষদের জন্য নাভির নিচ থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত এবং মহিলাদের জন্য চেহারা ও কব্জী পর্যন্ত দুই হাত এবং পায়ের পাতা ব্যতিত সমস্ত শরীর ঢাকা।

৫. কেবলামুখী হওয়া।

৬. নামাজের ওয়াক্ত হওয়া।

৭. নিয়ত করা।


নামাযের ভেতর ৬ ফরজ

১. তাকবীরে তাহরীমা বলা।

২. কিয়াম তথা সক্ষম ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামায পড়া।

৩.কেরাত পড়া। অর্থাৎ কুরআন শরীফ থেকে কোনো সূরা বা লম্বা এক আয়াত অথবা ছোটরকিন আয়াত পড়া।

৪. রুকু করা।

৫. দুই সেজদা করা।

৬. শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া।



নামাযের ওয়াজিব


---------------------------------------------------

১. সূরা ফাতেহা পড়া।

২. সূরা ফাতেহার সাথে অন্য কোনো সূরা মিলানো।

৩. ফরজের প্রথম দুই রাকাতকে কেরাতের জন্য নির্ধারণ করা।

৪. সূরা ফাতিহা অন্য সূরার আগে পড়া।

৫. রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো এবং প্রথম সেজদা থেকে সোজা হয়ে বসার পরক্ষণই দ্বিতীয় সেজদা করা।

৬. নামাযের সমস্ত রুকন ধীরে স্থিরে আদায় করা।

৭. প্রথম বৈঠক, অর্থাৎ তিন অথবা চার রাকাত ওয়ালা নামাযের দুই রাকাতের পর বসা।

৮. প্রথম ও শেষ বৈঠকে 'আত্তাহিয়্যাতু' পড়া।

৯.সালামের মধ্যমে নামায শেষ করা।

১০. বিতরের নামাযে দু'আয়ে কুনুত পড়া।

১১. দুই ঈদের নামাযে অতিরিক্ত তাকবীর বলা।

১২. ফজর, মাগরীব, ঈশা, জুমআ, দুই ঈদ,  তারাবী ও রমজান মাসের বিতর নামাযে ইমামের জন্য আওয়াজ করে কেরাত পড়া।

১৩. যোহর, আছর ও দিনের বেলায় সুন্নত ও নফল নামাজে নিজ কানে শুনতে পারে এই পরিমাণ আস্তে আওয়াজে কেরাত পড়া।

১৪. নামাযে ভুল বশতঃ কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে সেজদায়ে সাহু দেওয়া।

১৫. নামাযের প্রত্যেক রাকাতের ফরজ ও ওয়াজিব গুলোর তারতীব ঠিক রাখা।

১৬. 'আল্লাহু আকবার' বাক্য দ্বারা নামায শুরু করা।

Post a Comment

0 Comments