নামাযের সুন্নত
নামায ও কেরাতের সুন্নাত সমুহ
নামায ও কেরাতের সুন্নাত সমুহ

দাঁড়ানো অবস্থায় ১১টি সুন্নত


১.দু'পায়ের মাঝে চার আঙ্গুর পরিমাণ ফাঁকা রাখা ও টায়ের আঙ্গুলগুলে বরাবর কিবলা দিকে রাখা।
২. তাকবীরে তাহরীমার সময় মাথা ঝুকানো, সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দৃষ্টি সেজদার দিকে রাখা।
৩. মুক্তাদীদের তাকবীরে তাহরীমী ইমামের তাকবীরে তাহরীমীর পরক্ষণই হওয়া। (অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে যেন মুক্তাদীর তাকবীরে তাহরীমী ইমামের আগে না হয়।অন্যথায় মুক্তাদীর নামায হবে না।)
৪. তাকবীরে তাহরীমার সময় উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠানো।
৫.তাকবীরে তাহরীমার সময় হাতের তালু ও আঙ্গুলগুলো কিবলার দিকে থাকবে।
৬.আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফাঁকা থাকবে। 
৭. ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর রাখবে।
৮. পুরুষরা নাভীর নিচে এবং মহিলারা বুকেররউপর হাত বাঁধবে। 
৯. ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী ও কনিষ্ঠাঙ্গুলি দ্বারা গোলাকার বৃত্ত বানিয়ে বাম হাতের কব্জি ধরা। 
১০.অবশিষ্ট তিন আঙ্গুল বাম হাতের উপর স্বাভাবিকভাবে রাখা।
১১. ছানা পড়া।



কিরাতের সুন্নত

১. আউযুবিল্লাহ পড়া।
২. বিসমিল্লাহ্‌ পড়া।
৩. সূরা ফাতিহার পর 'আমিন' বলা। (আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ্‌ ও আমিন এই তিনটা আস্তে পড়া)
৪. মাসনুন কিরাতের রিয়ায়াত করা। অর্থাৎ ফজর এবং যোহর নামাযে ত্বিওয়ালে মুফাসসাল (লম্বা ক্বিরাত) আর হলো, সূরা 'হুজরাত' থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত, আসর এবং এশার নামাযে আওসাতে মুফাসসাল (মধ্যম ক্বিরাত) আর হলো, সূরা 'ত্বরিক' থেকে সূরা 'লাম-ইয়াকুন' পর্যন্ত এবং মাগরীবের নামাযে ক্বিরাতে মুফাসসাল (ছোট ক্বিরাত) আর হলো, সূরা 'যিলযাল' থেকে সূরা 'নাস' পর্যন্ত কোনো একটি সূরা বা সূরার সমান কোনো আয়াত পড়া।
৫. ফজরের প্রথম রাকাতকে দ্বিতীয় রাকাত অপেক্ষা লম্বা করা। (তবে অন্যান্য ওয়াক্তে উভয় রাকাতের কিরাত সমান রাখা উত্তম) 
৬. কিরাত অত্যন্ত তাড়াতাড়ি বা একেবারে ধীরে না পড়া, বরং মধ্যম গতিতে পড়া।
৭. ফরজ নামেযের তৃতীয় এবং চতুর্থ রাকাতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়া।