আজান ও ইকামতের সুন্নাত তরিকা

-মাহমুদ আব্দুল্লাহ,
আজান ও ইকামতের সুন্নাত তরিকা
আজান ও ইকামতের সুন্নাত তরিকাআযানের মাসায়েল


১. মুয়াযযিন পুরুষ হতে হবে। মহিলাদের আযান দেওয়া মাকরূহে তাহরীমী। মহিলাগণ আযান দিলে তা দ্বিতীয়বার দিতে হবে।

২. মুয়াযযিন স্ব-জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে। পাগল, মাতাল বা অবুঝ ছেলের আযান মাকরূহ। তারা আযান দিলে দ্বিতীয়বার দিতে হবে, কিন্তু ইকামত দ্বিতীয়বার দিতে হবে না।

৩. মুয়াযযিনের জুরুরি মাসায়েল (আযান ও নামায সম্পর্কিত) এবং নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্ক সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে।

৪. মুয়াযযিন দ্বীনদার, পরহেজগার, মুত্তাকী হতে হবে এবং সুন্নত সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকার সাথে সাথে সুন্নতের অনুসারীও হতে হবে।

৫. উচ্চ ও আকর্ষণীয় কণ্ঠস্বর বিশিষ্ট

ব্যক্তিকে মুয়াযযিন নিযুক্ত করা উত্তম।


আযান দেওয়ার সুন্নত নিয়ম


---------------------------------------------------

১. পবিত্র অবস্থায় আযান দেওয়া।

২. কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে আযান দেওয়া এবং উভয় পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁকা রেখে সামনের দিকে রাখা।

৩. প্রথম দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা। অতপর দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা এবং উল্লেখিত তাকবীরসমূহের প্রত্যেকটির শেষে সাকিন করা, অর্থাৎ "আল্লাহু আকবারুল্লাহু আকবার" এভাবে না বলা। অতঃপর মাঝের বাক্যগুলির মধ্য থেকে একটি বাক্য এক শ্বাসে বলা এবং প্রত্যেক বাক্যের শেষে সাকিন করা ও থামা। শেষের দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা ও উভয় তাকবীরের শেষে সাকিন করা।


উল্লেখ্য যে, এক বাক্য বলে থামার পর এ পরিমাণ বিরতি দেয়া, যাতে পঠিত বাক্যটি একবার পড়া যায়, অর্থাৎ শ্রোতাগণ যেন উক্ত সময়ে আযানের জওয়াবরদিতে পারেনন।

৪. ডান দিকে চেহারা ফিরানোর পর "হাইয়া আলাস সালাহ" বলা এবং বাম দিকে চেহেরা ফিরানোর পর "হাইয়া আলাল ফালাহ" বলা, কিন্তু বুক ও পা কিবলার দিক থেকে ফিরাবে না।

৫.স্বীয় মহল্লার আযান শ্রবণের সাথে সাথে শ্রোতাগণের তিলাওয়াত তাসবিহ ইত্যাদি বন্ধ রাখা।

৬. আযানের জওয়াব দেওয়া। অর্থাৎ মুয়াযযিন আযানের বাক্য উচ্চারণের ফাঁকে ফাঁকে শ্রোতাগণের হুবহু আযানের শব্দগুলো বলা। তবে "হাইয়া আলাস সালাহ" এবং "হাইয়া আলাল ফালাহ" বলার পর জওয়াবে "লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ" বলা।

৭. আযান শেষে দরূদ পড়া।

৮. দু'আ পড়া। দু'আ এই-


আযানের পর দোয়া

আজান ও ইকামতের সুন্নাত তরিকা


উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ দা'ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি আসসালাতিল ক্কা-ইমাতি আতি মুহাম্মাদানিল অসি-লাতা অলফাদীলাতান, অবআসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজী অআততাহু ইন্নাকা লা-তুখলিফুল মীয়াদ।



ইকামত দেওয়ার সুন্নত


---------------------------------------------------

১. পবিত্র অবস্থায় আযান দেওয়া।

২. কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে আযান দেওয়া এবং উভয় পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁকা রেখে সামনের দিকে রাখা।

৩.প্রথম চার তাকবীর একত্রে এক শ্বাসে বলে থামা এবং প্রত্যেক তাকবীরের শেষে সাকিন করা। অত:পর মাঝের বাক্যগুলির থেকে দুই বাক্য একত্রে এক শ্বাসে বলে থামা এবং শেষের তাকবীরের সাথে 'লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু' মিলিয়ে একত্রে এক শ্বাষে বলা এবং উভয় তাকবীরের শেষে সাকিন করা।

৪. ইকামতেও আযানের ন্যায় ডান দিকে চেহারা ফিরিয়ে 'হাইয়া আলাস সালাহ' বলা এরপর বা দিকে চেহারা ফিরিয়ে "হাইয়া আলাল ফালাহ" বলা (তবে লক্ষ রাখতে হবে যেন সীনা ঘুরে না যায়)।

৫. আযানের জওয়াবের মতই মুসল্লীগণের ইকামতের জওয়াব দেয়া। তবে মুয়াযযিন যখন 'ক্কাদকা-মাতিসসালাহ' বলবে শ্রোতারা তখন বলবে - "আক্বামাহাল্লাহু আ-আদামাহা"

Post a Comment

0 Comments