মুসলিম নাম পরিবর্তনের নেপথ্যে

-মাওলানা নাসরুল হক,


মুসলমানের লেখা তারাণা দ্বারা যারা নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশ করে আজ সেই মুসলিম নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে তারা সহিংসতা ছড়াচ্ছে।

যদি মুসলিম নাম এতোই খারাপ লাগে যে, তা রাখাই যাবে না। তাহলে 'সারে জাঁহাসে আচ্ছা'ও তো গাওয়া যাবে না। কারণ এটাও তো একজন মুসলমানেরই লেখা।
মুসলিম নাম পরিবর্তনের নেপথ্যে
মুসলিম নাম পরিবর্তনের নেপথ্যে

আমি সহিংসতাবাদী হিন্দুদের বলবো, ইংরেজদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম যারা স্বাধীনতার আওয়াজ তুলেছিল তাঁরাও কিন্তু মুসলমান ছিল।
তাই এ কথা বলা অত্যুক্তি হবে না যে, হিন্দুস্তানে বসবাসকারী হোক সে ভারত, বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানি প্রত্যেক মানুষের রক্ত, মাংস এবং অস্তিত্ব সে যে ধর্মাবলম্বিই হোক না কেন তাদের কাছে চিরঋণী যারা সর্বপ্রথম স্বাধীনতার আওয়াজ তুলেছিলেন।
মুসলিম নাম পরিবর্তনের নেপথ্যে
আমি একথা বলছিনা যে, এতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভূমিকা ছিলনা। শুধু তারা কেন বরং হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, শিখসহ আরো যত জাতি বা ধর্মের অনুসারী আছে সকলেই স্বাধীনতা যুদ্ধে সমানভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। সকলে মিলে স্বাধীনতা অর্জনও করেছে। এরপর থেকে শান্তিতে সহাবস্থান করে আসছে সবাই। তারপর ৫৯সালে পাকিস্তান এবং পরে ৭১ সালে বাংলাদেশ পৃথকভাবে স্বাধীন হলো। তবুও তাদের সহাবস্থানে বিন্দুমাত্র ফাটল ধরেণি। সবাই মিলেমিশে বাস করা, একসাথে পথচলা, এবং প্রায় সর্বক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগীতা করাসহ আরো নানাহ বিষয়ে এক হয়ে ছিল।
কিন্তু প্রায় একশত বছরের কাছাকাছি সময়ে এসে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় জড়ানো কেন? কেন সহিংসতা ছড়ানো?

আসুন সবকিছু ভুলে আমরা সহাবস্থানে থাকি এবং প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্ম পালনে একে অপরের সহযোগী হই। কল্যাণকামী হই। নয়তো ইহা পুরা হিন্দুস্তানিদেরকে অনকে বড় কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। যা সত্যিই ভয়াবহ হবে।
মুসলিম নাম পরিবর্তনের নেপথ্যে
উল্লেখ্য যে সাম্প্রতিকালে হিন্দুস্তানে বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু স্থানে মুসলিম নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। এবং এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে, ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদের স্থানে রামমন্দির তৈরীর পক্ষে জনমত গড়ে তোলা।
আমি মনে করি এটা নিতান্তই বাড়াবাড়ির নামান্তর।

মাওলানা নাসরুল হক,