আমরা একটু সতর্ক হই

👉 আমরা একটু সতর্ক হই👈
“✊অল্পের জন্য বেঁচে গেছি”
আমরা চলতে ফিরতে প্রতিনিয়ত এই বাক্যটা প্রায়ই বলে থাকি৷ কিন্তু একদিনও কি ভেবে দেখেছি, এ কারণে আমরা শিরকে লিপ্ত হচ্ছি৷
ব্যাস! আমার লেখার এই অংশটা পড়ার পর কুপের ব্যঙ্গের ন্যায় সল্প জ্ঞানের অধিকারী কিছু মানুষ মাথাটা একটু ঝাকিয়ে নিয়ে বলবে হুহ… বাজে একটা লেখা৷
আমি তার প্রতিবাদে জোর গলায় বলতে চাই, আমার লেখা বাজে নয় বরং আপনার দিল-দেমাগ বাজে হয়ে গেছে৷ যার ফলে আজ আপনার ভালো-মন্দ, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সঠিক-বেঠিক কোনো বিষয়ে পার্থক্য করার সাধারণ জ্ঞানটুকও আপনি হারিয়ে ফেলেছেন। এ জন্যই তো আজ আপনাকে কুরআন-সুন্নাহর কথা ভালো লাগে না, ভালো লাগে শুধু গান সিনেমা। সঠিক পথে চলতে মনে চায় না, চায় শুধু অশ্লীলতা আর বেলেল্লাপনা। মোটকথা যা চায় তাই করতে হবে। তাতে কারো কোনো তোয়াক্কা করা যাবে না। কোনো নিয়মকানুনের ধার ধারাও যাবে না।
শোনেন! মানুষ মাত্রই তাকে অবশ্যই কোনো না কোনো নিয়মকানুনের আওতায় চলতে হবে। নয়তো এমন চলাফেরা তো অন্যান্য প্রাণীরাও করে। তাহলে আমি যদি মানুষ হয়ে থাকি, আমার মাঝে ও অন্যান্য প্রাণীর মাঝে পার্থক্যটা কোথায়?
প্রিয় পাঠক! প্রসঙ্গ থেকে একটু দূরে সরে গেছি। এবার আসি মুল কথায়। ওই যে, “অল্পের জন্য বেঁচে গেছি” বলেছিলাম এই বাক্যটা বললে আমরা শিরকে লিপ্ত হই অর্থাৎ এর মধ্যে শিরকের গন্ধ আছে। বাক্যটার বাহ্যিক দিকে তাকালে তো তেমন কোনো সমস্যা আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু একটু গভীর দৃষ্টিতে তাকালে তার মুখোশটা উন্মোচন হয়ে যায়।
প্রত্যেক মানুষ চাই সে আস্তিক কিংবা নাস্তিক হোক একটা কথা স্বীকার করতে বাধ্য যে, দুনিয়ার জীবনে তার বাঁচা এবং মরার বিষয়টি তার নিজ ক্ষমতায় নাই। শুধু মানুষ কেন বরং পৃথিবীতে বিচরণশীল প্রতিটি প্রাণীর ক্ষেত্রেও এ কথা সমানভাবে প্রযোজ্য। এ থেকে বুঝা যায় মানুষসহ সকল প্রাণীরই জীবনসত্তা কারো অধীনে রয়েছে। অর্থাৎ একটা মহান সত্তা সকলকে জীবনে বাঁচিয়ে রাখেন এবং সময় শেষে আবার তার মৃত্যু তিনিই ঘটান। তিনি আর কেউ নন, তিনিই আল্লাহ।
সুতরাং জীবন দান করা বা বাঁচানো এটা আল্লাহর অশংখ্য গুণাবলির মধ্য হতে বিশেষ একটা গুণ যাতে কারো কোনো দখল নেই। ইহা কুরআনে হাকীমের একাধিক আয়াত ও হাদীসে নববী সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অশংখ্য হাদীসে বর্ণীত হয়েছে।
এবার যখন আমি বলবো “অল্পের জন্য বেঁচে গেছি” তখন আল্লাহর সাথ তাঁর বাঁচানোর গুণে আমিও পরোক্ষভাবে শরীক হওয়ার দাবী করলাম যে, (নাউযুবিল্লাহ) আমি আমার নিজ ক্ষমতায় বাঁচি, আমাকে কেউ বাঁচান না।
তাহলে বাক্যটার শুদ্ধতা কি হবে যা বললে শিরক হবে না। তা হলো
আমরা যখন কোনো বিপদ-আপদ থেকে আল্লাহর রহমতে রক্ষা পাবো, আমরা বলবো; ‘অল্পের জন্য আল্লাহ বাঁচিয়েছেন বা রক্ষা করেছেন’।
অর্থাৎ বাঁচানোর গুণটিকে আমার দিকে সম্পৃক্ত না করে তাঁর দিকেই সম্পৃক্ত করে দিবো।
এতে আশা করা যায় আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
আল্লাহ তাওফীকদাতা!

Post a Comment

0 Comments